রায়হান আহমেদ, চুনারুঘাট : দীর্ঘদিন ধরে জন প্রতিনিধিরা কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় মানুষের দুর্ভোগের অন্ত ছিল না। সাধারণের ভোগান্তি লাগব করতে চুনারুঘাট উপজেলার শানখলা ইউনিয়নের লাল চান্দ চা-বাগানের ছড়ার উপর সেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে একটি কাঠের ব্রিজ নিমার্ণ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দিনব্যাপী স্থানীয় লোকজনদের নিয়ে নিজ উদ্যোগ ও অর্থায়নে ব্রিজটি তৈরী করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের নির্বাহী সদস্য ও তরুণ সমাজসেবক ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার লাল চান্দ চা-বাগানের ছড়ার উপর দিয়ে রমাপুর, কালিনগর, নোয়াগাঁও, ঢেওয়াতলী, দেউন্দি চা-বাগান এবং চা শ্রমিকসহ প্রতিদিন প্রায় ৮/১০টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। এ ছাড়ার স্থানীয় মান্নান মাষ্টার স্কুল এন্ড কলেজ, সুবেহ ছাদেক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা এ ছড়া দিয়ে পারাপার হয়। ব্রিজ না থাকায় শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে যাতায়াত করতে বাড়তি দুর্ভোগ পোহাতে হয়। রাজনৈতিক নেতারা নির্বাচন আসলেই ব্রিজ করে দিবেন বলে আশ্বাস দিলেও তা রয়ে যায় আশার বাণী হিসেবে। স্থানীয় জনসাধারণের ভোগান্তি দূর করতে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের এ নিঃস্বার্থ উদ্যোগ স্থানীয়দের স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে ভূমিকা নেয়। ব্রিজ নির্মাণের করার পর চলাচলে অনেকটাই সুবিধা হয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান। চা-বাগান বেষ্টিত এলাকার মানুষের চলাচলের একমাত্র ছড়াটির উপর দীর্ঘ দিন যাবত ব্রিজ না থাকায় দূর্ভোগ শেষ ছিল না। ব্রীজ নিমার্ণ হওয়ায় স্থানীয় জনতাসহ চা-বাগানের বসবাসরত শ্রমিকদের মাঝে ব্যাপক আনন্দ উল্লাস দেখা গেছে।
ব্রিজ নির্মাণ কাজের সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ সাঃ সম্পাদক আবুল কালাম চৌধুরী এখলাছ, মান্নান মাষ্টার স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ পরিচালক আঃ মান্নান, বিশিষ্ট সমাজসেবক সাইফুল ইসলাম চৌধুরী লিটন, চা-বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক হিমালা শাহা, আওয়ামীলীগ নেতা জীবন গোপ, স্থানীয় বাসিন্দা দুলাল মিয়া, জলফু মিয়াসহ ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৯ বছর যাবৎ ছড়ার উপর ব্রিজটি পরিত্যাক্ত জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিল। সম্প্রতি টেন্ডার হয়েছে বলে নতুন করে নির্মাণ করা হবে মূলে পরিত্যক্ত ব্রিজটি ভেঙ্গে ফেলা হয়। ভাঙ্গার অনেক দিনপরও আজবি ব্রিজ নির্মাণ কাজের কোন পক্রিয়া দেখা যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, এই দেশ আমাদের বাংলাদেশ। এই দেশের মানুষের কষ্ট আমাদের সবার কষ্ট। তাই আমি মনে করি এই কষ্ট আমাদেরই লাগব করতে হবে। সেচ্ছাশ্রমই কষ্ট দূর করার একমাত্র উপায়।
প্রসঙ্গত, তিনি ইতোমধ্যে উপজেলার ১৫টি ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তার সংস্কারসহ ব্রিজ তৈরির কাজ সম্পন্ন করেন।